পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক

প্রবাসীদের অনেকেই জানতে চান পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম কি বা মালয়েশিয়ার ভিসা কিভাবে চেক করতে হয়? সেইসব প্রবাসী ভাইদের সহযোগিতার জন্য এই ব্লগটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রবাসে কাজের সন্ধানে হোক বা পড়াশোনা কিংবা যে কোনো প্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া একটু বেশিই প্রাধান্য পায়। মালয়েশিয়ার আয়, সুযোগ -সুবিধা, কাজের ধরন সহ সবকিছুই তুলনামূলক ইতিবাচক বলে মালয়েশিয়ার ভিসা পাওয়ার জন্য অনেকেই আবেদন করে থাকে।

কিন্তু ভিসা পেয়েছেন কিনা, ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন সময় লাগবে, আদৌ ভিসা আসবে নাকি কোনো ধরনের সমস্যা হতে পারে এই সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর আপনি নিজেই খুঁজে বের করতে পারবেন আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটির মাধ্যমে। কোনো দালালের শরণাপন্ন না হয়ে কিভাবে নিজেই ভিসা চেক করতে পারবেন তা জেনে নিন।

ভিসা পাওয়ার নিউজ শোনার পরেও অনেক সময় প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিজে নিজে একবার যাচাই বাছাই করে নেয়া জরুরি। আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে খুব সহযেই চেক করে নিতে পারবেন আপনার মালয়েশিয়া ভিসা প্রস্তুত হয়েছে কিনা। চলুন যেনে নেয়া যাক পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত।

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক পদ্ধতি

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করার জন্য আপনি যে পাসপোর্ট দিয়ে ভিসার আবেদন করেছেন সেই পাসপোর্ট নাম্বারটি অবশ্যই লাগবে। এজন্য প্রথমে আপনাকে মোবাইলের ক্রোম ব্রাউজারটি ওপেন করতে হবে।

ব্রাউজারের সার্চ অপশনে গিয়ে https://eservices.imi.gov.my/myimms/FomemaStatus এই ওয়েব এড্রেসটি লিখে সার্চ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে সরাসরি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতো পারবেন। অথবা Malaysia Immigration Website লিখে সার্চ করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাবে।

আপনি যদি কাজটি মোবাইলের সাহায্যে করেন তাহলে ক্রোম ব্রাউজারের ডেস্কটপ মোড অন করে নিলে সহজেই কাজ করতে পারবেন। ডেস্কটপ মোড অন করার জন্য মোবাইলের ডান দিকে উপরে কোনায় তিনটি ডট অপশন দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করতে হবে। ডট অপশনে ক্লিক করলে অনেকগুলো অপশন চলে আসবে।

অপশন গুলো ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখবেন মাঝামাঝি অবস্থানে ইংরেজিতে লেখা আছে desktop mode। এখানে ক্লিক করলে আপনার ক্রোম ব্রাউজারটি ডেস্কটপ মোডে চলে আসবে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনি কিছুই বুঝতে পারবেন না কারন এখানে বাংলা বা ইংরেজি ভাষার কিছু লেখা থাকবে না।

সেক্ষেত্রে আপনাকে ক্রোম ব্রাউজারটি স্ক্রল করে একদম নিচের দিকে চলে যেতে হবে। সেখানে ট্রান্সলেট অপশন অথবা ল্যাংগুয়েজ অপশন পাবেন। এই অপশন থেকে ইংলিশ সিলেক্ট করে পুরো ওয়েবসাইটটিকে ট্রান্সলেট করে নিতে হবে।

এরপর ওয়েব পেইজটির প্রথমে একটি অপশন পাবেন, সেখানে পাসপোর্ট নাম্বার দিতে হবে, অবশ্যই যে পাসপোর্ট দিয়ে আবেদন করেছেন সেই পাসপোর্ট নাম্বার দিতে হবে এবং দ্বিতীয় বক্সে দেশের নাম সিলেক্ট করতে হবে।

দেশের নাম বলতে আপনি কোন দেশে থেকে যাবেন বা কোন দেশের নাগরিক সেই দেশের নাম বাছাই করে করে সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ সিলেক্ট করতে হবে।

তারপর carian অপশন অথবা কখনও কখনও search অপশনও লেখা থাকে, সেখানে ক্লিক করে সার্চ করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। আপনার ভিসা যদি প্রস্তুত হয় তাহলে সব ডিটেইলস এখানে চলে আসবে নয়তো কোনো ইনফরমেশন এখানো শো করবে না।

ভিসা প্রস্তুত হলে এখানে আপনি আপনার নাম, পাসপোর্ট নাম্বার, , জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, ভিসা তৈরির তারিখ, এবং মেয়াদ শেষ তারিখ সহ বিস্তারিত সব তথ্য দেখতে পারবেন।

উপরের স্টেপ গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে কাজ করলে এবং আপনার ভিসা প্রস্তুত হলে অবশ্যই আপনি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার মাধ্যমে ভিসার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে  পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের দালালের হাতে পড়ে প্রতারণার শিকার হওয়ার সুযোগ নেই।

মালয়েশিয়া ভিসার ধরন

অনেকেই মালয়েশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন কিন্তু বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কোন কোন ভিসা পাওয়া যাবে তা হয়তো জানা নেই। চলুন দেখে নেয়া যাক মালয়েশিয়া ভিসার ধরন।
মালয়েশিয়া ভিসা প্রধানত পাঁচ ধরনের হয়ে থাকে। যথা-

১) ট্যুরিস্ট ভিসা

মালয়েশিয়া ঘুরে দেখতে চাইলে এবং একটি নির্দিষ্ট সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য মালয়েশিয়া যেতে চাইলে আপনি ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

২) বিজনেস ভিসা

আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যবসায় পরিচালনা করতে মালয়েশিয়া যাতায়াতের প্রয়োজনে বিজনেস ভিসার আবেদন করতে হবে।

৩) ওয়ার্ক ভিসা

বাংলাদেশী প্রবাসীদের বেশিরভাগেরই মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রধান উদ্যেশ্যে কাজের সন্ধান। চাকরির জন্য মালয়েশিয়া যেতে চাইলে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে হবে।

৪) রিটার্ন ভিসা

মালয়েশিয়া থাকাকালীন সময়ে যদি আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তবে রিটার্ন ভিসার আবেদন করে আরও কিছুদিন থাকার বৈধ অনুমতি পেতে পারেন।

৫) স্টুডেন্ট ভিসা

মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করতে যাওয়ার প্রচেষ্টা অনেক শিক্ষার্থীর। পড়াশোনার উদ্যেশ্যে মালয়েশিয়া যেতে চাইলে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে হবে।

পাসপোর্ট কী?

যে কোনো দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ট্রাভেল করতে গেলে বা ভিসা পেতে হলে প্রথম শর্তই হলো আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। তবে যারা বৈদেশিক ভ্রমনে একদমই নতুন বা যারা কর্মসংস্থানের জন্য প্রবাসে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে তাদের অনেকেরই পাসপোর্ট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা নেই।

ভিসা আবেদন করার আগে বা ভিসা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানার আগে তাই অবশ্যই আমাদের পাসপোর্ট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার।

পাসপোর্ট হলো এক ধরনের আন্তর্জাতিক ভ্রমন বিষয়ক নথি বা পরিচয়পত্র যা একটি দেশের সরকার কর্তৃক সেই দেশের নাগরিকদের প্রদান করা হয়। আন্তর্জাতিক ভ্রমনের সময় পাসপোর্ট এর মাধ্যমে সঠিক যাত্রীকে শনাক্ত করা হয়।

এটিতে পাসপোর্ট মালিকের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, ছবি, সাক্ষর সহ যাবতীয় তথ্য থাকে। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে ই-পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু হচ্ছে যেখানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পাসপোর্ট মালিকের আঙুলের ছাপের সাহায্যে সঠিক ব্যক্তি শনাক্ত করা যাবে।

আপনার যদি আন্তর্জাতিক ভ্রমনের পরিকল্পনা থাকে বা প্রবাসে যাওয়ার ইচ্ছা তাকে তাহলে অবশ্যই একটি পাসপোর্ট করে রাখা জরুরি। পাসপোর্ট ছাড়া কোনো ধরনের ভিসার আবেদন করা যাবে না এবং বৈদেশিক ভ্রমনের কোনো সুযোগ পাওয়া যাবে না।

ভিসা কী?

বৈদেশিক ভ্রমনের জন্য আপনার যদি একটা পাসপোর্ট করা হয়ে থাকে তাহলে আপনি ভিসার আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না ভিসা কী এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমনে ভিসা কতোটুকু গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেয়া যাক ভিসা সম্পর্কিত বিস্তারিত সকল তথ্য।

কোনো দেশে অন্য দেশের নাগরিক অর্থাৎ বিদেশীদের প্রবেশ ও অবস্থানের অনুমতিকে ভিসা বলে। ভিসা ছাড়া কোনো দেশে অন্য দেশের নাগরিকের অবস্থান অবৈধ বলে বিবেচিত এবং এটা কোনো প্রকার আইনের নাগালে পৌঁছাতে পারলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

নিজ দেশে অবস্থিত অন্যান্য বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলো থেকে ভিসা প্রদান করা হয়। পাসপোর্টের কোনো এক পাতায় লিখিত আকারে বা সিলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভিসা পারমিট করা হয়। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় আবার ভিসার আবেদন না করলে প্রবাসে থাকা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।

বিভিন্ন উদ্যেশ্যে ভ্রমনের জন্য আলাদা আলাদা ভিসা পারমিট করা হয় এবং ভিসার ধরন ভিসার মেয়াদ সব কিছুই লিখিত আকারে উল্লেখ থাকে। তাই বিদেশ যাওয়ার উদ্যেশ্য ও কতোদিন থাকার প্রয়োজন হতে পার তা বিবেচনা করে ভিসার আবেদন করতে হবে।

আবেদন করার পরে দূতাবাস থেকে যাবতীয় সকল তথ্য পর্যবেক্ষণ করে আপনাকে ঐ দেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে কিনা তা বিবেচনা করা হয়। সবশেষে যদি আপমার সবকিছু আইনানুগ মতে বৈধ ও যথোপযুক্ত হয় তবেই প্রবাসে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের অনুমতিপত্র পাবেন। মূলত এটাই ভিসা।

মালয়েশিয়ায় যেসকল ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হয় :

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিসা যতোগুলো আবেদন পড়ে তার মধ্যে সবথেকে বেশি আবেদন হয় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য। মালয়েশিয়া মূলত অর্থনৈতিক দিক থেকে একটি উন্নত রাষ্ট্র যেখানে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

দেশটি তাদের নিজস্ব কর্মসংস্থানের চাহিদা পূরণ করে প্রচুর বৈদেশিক শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য শ্রমিক ও কর্মচারী মালয়েশিয়া যাচ্ছে কাজের সন্ধানে। উচ্চ আয়, সহজলভ্য কর্মক্ষেত্র, ওভারটাইমের সুযোগ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কথা বিবেচনা করে প্রবাসীদের মধ্যে মালয়েশিয়ার প্রতি একটি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সেক্টরে বৈদেশিক শ্রম বিনিয়োগ দেয়া হয়।

মালয়েশিয়া একটি উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার দেশটির চারদিকে রাতের অন্ধকারে চারদিকে সব সময় আলো ঝলমলে থাকে। এই ইলেকট্রিক্যাল কর্মকাণ্ড সুনিপুণ ভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক এই ইলেকট্রনিক খাতে চাকরির জন্য আবেদন করে এবং ভালো বেতনে কাজ করার সুযোগ পায়। মালয়েশিয়ার তুলনামূলক ভাবে ভালো বেতনে কাজ পেতে চাইলে ইলেকট্রিক্যাল কাজে দক্ষ হয়ে চাকরির আবেদন করলেই ভালো।

মালয়েশিয়ায় প্রচুর পরিমানে পাম উৎপাদন করা হয়। সেই ক্ষেত্রে কৃষি খাতে অনেক জনবলের প্রয়োজন মেটাতে বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। মলয়েশিয়ায় কৃষি খাতে শ্রমিকের চাহিদা সবথেকে বেশি।

মালয়েশিয়াতে নার্সিং সেক্টরে পড়াশোনা করার সুযোগের পাশাপাশি কাজের জন্য বৃহৎ পরিসরে ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে মহিলা প্রবাসীদের জন্য এই সেক্টরটি খুবই ভালো সুযোগ সুবিধা বহন করতে সক্ষম।

গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে অনেক প্রবাসী ভিসার আবেদন করে খুব দ্রুত ভিসা প্রসেসিং করতে পারেন।

এছাড়া সেলস পার্সন, বাসা বাড়ির বিভিন্ন কাজ, কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, হোটেল কর্মী, সি লেভেল নির্বাহী কর্মকর্তা ইত্যাদি পদে ব্যাপক পরিসরে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।

উল্লেখ যে, সি লেভেল নির্বাহী কর্মকর্তা পদে সবথেকে উচ্চ বেতনের নিশ্চয়তা ও সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।

মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সম্ভাব্য আয়:

প্রবাসীদের আয় কেমন হবে তা বেশ কিছু বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন করা হয়। সর্বপ্রথম যে বিষয়টি বিবেচনা করা হয় তা হলো কর্মদক্ষতা। যার কাজের দক্ষতা যতো বেশি তার কর্মক্ষেত্রে অবস্থানও ততো দৃঢ় হয়। ফলে তার আয়ও তুলনামূলক ভাবে বেশি হবে।

তারপর যে বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হয় তা হলো কাজের সেক্টর। একেক সেক্টরের কর্মীদের বেতন সীমা একেক রকম। আবার কোম্পানি ভেদে একই কাজের জন্য বেতন স্কেল ভিন্ন হতে পারে।

তবে মালয়েশিয়ায় একদম সাধারণ মানের একজন শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করলেও আইনানুগ ভাবে তার সর্বনিম্ন বেতন ধার্য হয় ১ হাজার ২০০ রিঙ্গিত। বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করলে যার মোট পরিমান ২৪ হাজার ৪২০ টাকা।

এরপরে ওভারটাইমের সুযোগ তো রয়েছেই। সেক্ষেত্রে দেখা যায় মালয়েশিয়ায় একজন সাধারণ শ্রমিকের ওভারটাইম সহ মাসিক আয় বাংলাদেশী টাকায় ৩০ হাজার বা তার বেশি হতে পারে। উল্লেখ যে মালয়েশিয়ান মুদ্রার ১ রিঙ্গিত এর বাংলাদেশী মূল্য ২৩.৩০ টাকা।

এই দেশে সি লেভেল নির্বাহী কর্মকর্তার বেতন তুলনামূলক সবথেকে বেশি যা বাংলাদেশী হিসেবে ৭২ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৪০ টাকা বা তার বেশি। এছাড়া আইটি সেক্টরে পারদর্শী কর্মীরাও খুবই ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ পেয়ে থাকে।

ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের বেতন সাধারণত ১৭০০ রিঙ্গিত থেকে ২৫০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হতে পারে এবং সেই সাথে আছে ওভারটাইমের সুযোগ। ইলেকট্রনিক্স মেকানিক দের বেতন সাধারণত ২০০০ থেকে ২৫০০ রিঙ্গীত ধার্য করা হয়।

কনস্ট্রাকশন শ্রমিকদের বেতন সাধারণত ১৮০০ রিঙ্গিত থেকে ২৫০০ রিঙ্গিত এর মধ্যে হয়। অন্যদিকে কৃষি কাজের বেতন সর্বনিম্ন ১৩০০ থেকে শুরু করে ৩০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হতে পারে। তবে এটা একটি আনুমানিক গড় হিসাব৷

যে কোনো সেক্টরেই কর্মীর কাজের প্রতি আগ্রহ, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর বিবেচনা করে বেতন নির্ধারন করা হয়। আবার প্রতিষ্ঠান ও মালিক ভেদেও পারিশ্রমিকে তারতম্য থাকতে হবে।

শেষ কথা:

যারা কাজের উদ্যেশ্যে মালয়েশিয়া যেতে চাচ্ছেন বা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য আজকের আয়োজনটি একটু হলেও উপকারী বলে আশা করা যায়। প্রবাসে যাওয়ার আগে অবশ্যই সঠিক উপায়ে সকল বৈধ অনুমতিপত্র সংগ্রহ করে খুব সতর্কতার সাথে প্রতিটি পদক্ষেপ পার করতে হবে। অবশ্যই নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সকল ফরমালিটিস পেরিয়ে পুরো কাজটি সম্পন্ন করা উচিত যাতে কেউ প্রতারিত করতে না পারে।

ভিসা প্রসেসিং এর সময় মাঝে মাঝে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়ার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভিসা চেক করে নিতে ভুলবেন না। আপনার প্রবাসের কর্ম জীবন সুন্দর ও সফল করতে চাইলে বিচক্ষনতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই, নয়তো প্রতিটি পদক্ষেপেই প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

Add comment